এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে শুরু করবেন জেনে নিন
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি ভালো আছেন। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ঘরে বসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব। ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেকগুলো সেক্টর বা বিভাগ রয়েছে।
তার মধ্যে সহজ এবং টাকা ইনকাম এর জন্য জনপ্রিয় সেক্টর হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে কিভাবে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যাবে সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে হলে আগে আমাদের জানতে হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে কি বুঝায়। কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের পণ্য মার্কেটিং এর মাধ্যমে সেলস বা বিক্রয় করার মাধ্যমে উক্ত কোম্পানির থেকে যে মুনাফা বা কমিশন লাভ করা যায় তাকেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।
আপনার রেফারেন্সে যদি কেউ পণ্য ক্রয় করে তাহলে সেই পণ্যের উপরে আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে কমিশন পাবেন। উদাহরণঃ আপনার যদি একটি ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল থাকে, তবে সেখানে অ্যামাজন, শেয়ারএসেল, বা ক্লিকব্যাংকের লিঙ্ক শেয়ার করে আয় করতে পারবেন।
যেমন, Helptika.com আপনাদের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার সুযোগ দিচ্ছে। হেল্পটিকা ডট কম এর প্রোডাক্ট গুলো সেল করে দিলে আপনারা কমিশন লাভ করতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কি আসলেই লাখ টাকা ইনকাম করা যায়
জী, অবশ্যই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে লাখ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। আপনার যদি অনলাইনে পরিচিতি থাকে এবং ভালো জনপ্রিয়তা থাকে, ফেসবুক পেইজ, ওয়েবসাইট বা কোন সোশ্যাল প্রোফাইল থাকে সেক্ষেত্রে আপনার কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ১০,০০০ টাকা থেকে ১,০০,০০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
ধরুন, আপনি একটি প্রোডাক্ট অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করছেন যার মূল্য ৫,০০০ টাকা, এবং প্রতি সেল থেকে আপনি কমিশন পাচ্ছেন ১০%। তাহলে প্রতি সেল থেকে আপনার আয় হবে:
অর্থাৎ, ১,০০,০০০ টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে মোট ২০০টি সেল জেনারেট করতে হবে।
আয়ের জন্য কমিশন রেট ভিন্ন হলে হিসাব পরিবর্তন হতে পারে।
যদি কমিশন রেট পরিবর্তিত হয় (যেমন ১৫%, ২০% বা তার বেশি), তাহলে আয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সেলের সংখ্যা কমে যাবে।
উদাহরণ:
যদি কমিশন রেট ১৫% হয়, প্রতি সেলে আয় হবে ৭৫০ টাকা।
তখন ১,০০,০০০ ÷ ৭৫০ = ১৩৩.৩৩ ≈ ১৩৪টি সেল।
১,০০,০০০ টাকা আয় করার জন্য ফ্রি টিপসঃ
- উচ্চ কমিশন প্রোগ্রাম বাছাই করুনঃ বড় কোম্পানি বা উচ্চ-মূল্যের প্রোডাক্ট প্রোমোট করুন।
- ট্রাফিক বাড়ানঃ আপনার ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল, বা ফেসবুক পেজের দর্শক সংখ্যা বাড়ান।
- ফোকাসড কন্টেন্ট তৈরি করুনঃ পণ্য সম্পর্কিত নির্দিষ্ট কন্টেন্ট তৈরি করুন, যা দর্শকদের আকর্ষণ করবে।
- ইমেইল মার্কেটিং ব্যবহার করুনঃ ইমেইল সাবস্ক্রাইবারদের মাধ্যমে প্রোডাক্ট প্রোমোট করুন।
মনে রাখবেন, ধারাবাহিক পরিশ্রম এবং সঠিক কৌশল অবলম্বন করলে লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। আশা করি ছোট্ট একটা ধারণা পেয়েছেন। নিয়মিত শ্রম দিলে ২০০ টা সেল করা অসম্ভব কাজ নয়। সেল বাড়ানোর জন্য শিখতে হবে নানান প্রকার টিপস এবং ট্রিক্স।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো!
আপনাদের ১ লাখ টাকা ইনকাম এর ধারণা দিলাম। চেষ্টা আর ইচ্ছা থাকলে আরও বেশি ইনকাম সম্ভব শুধুমাত্র এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে। আর আপনার পাশাপাশি আরও ইনকাম থাকবে।
কিন্তু অনেকেই জানেন না কিভাবে প্রফেশনাল ওয়ে তে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করা যায়। যাতে করে কেউ বুঝবেই না আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং জগতে এক্সপার্ট।
আর এই এক্সপার্ট বোঝাতে আপনাকে নিজের স্কিল ডেভলপ এ সময় দিতে হবে। হেল্পটিকা ডট কম এর তত্ত্বাবধায়নে "অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম" - কোর্স টি দিয়ে শুরু করুন আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং যাত্রা। আপনি সফল হবেনই ইনশাআল্লাহ।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স সম্পর্কে কিছু তথ্য
অনেক জায়গায় দেখি আমার পরিচিত ভাইয়া/আপুরা ক্লাস করে কিন্তু টাকা ইনকাম এর আসল পথ টা বের করতে পারেনা। তাই আমার ফুল ফোকাস অনলাইন থেকে টাকা ক্যাচ করা শেখানো। আমাদের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সফলতার কষ্টিপাথর হতে পারে। আমাদের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্সটি।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স: শুরু থেকে আয়ের পথে আপনার সহযাত্রী
আপনার জন্য আমরা এনেছি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শেখার এক অনন্য সুযোগ! একদম ব্যাসিক থেকে এডভান্স লেভেল পর্যন্ত, সময় নিয়ে ধাপে ধাপে শেখানো হবে। আমাদের লক্ষ্য হলো, আপনাকে দক্ষ করে তোলা যেন আপনি সত্যিকারের আয় করতে পারেন। কোর্সের বিশেষ বৈশিষ্ট্যঃ
- স্টুডেন্ট সংখ্যা সীমিতঃ প্রত্যেক শিক্ষার্থী যেন শতভাগ সাপোর্ট পায়, তা নিশ্চিত করতে আমরা সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থী নেব।
- লাইভ ক্লাসঃ ক্লাস হবে অনলাইনে গুগল মিট অ্যাপ এর মাধ্যমে। লাইভ সেশনে সরাসরি শিখতে পারবেন।
- শতভাগ সমাধানঃ প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর এবং সমাধান দেওয়া হবে।
- ব্যবহারিক শেখাঃ মুখস্ত শেখার থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে এমন বিষয়ে যা শিখলে বাস্তবে আয় করা সম্ভব।
সময় এবং কোর্সের কাঠামোঃ
শিক্ষার্থীদের সুবিধা অনুযায়ী সময় নির্ধারণ করা হবে। ক্লাস চলবে সর্বোচ্চ ২ মাস।
টপিক কভারেজঃ
- বেসিক থেকে এডভান্স লেভেল পর্যন্ত প্রতিটি টপিক শেখানো হবে।
- লোকাল প্রতিষ্ঠানের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং দিয়ে শুরু করা হবে যাতে সহজে দক্ষ হওয়া যায়।
- সেলস সাইকোলজি এবং ক্রেতা খোঁজার কৌশল শেখানো হবে।
- সেলস বাড়ানোর সব গুরুত্বপূর্ণ টিপস।
লাইফটাইম ফ্রি সাপোর্টঃ একবার কোর্স করলে আজীবন ফ্রি সাপোর্ট পাবেন।
কোর্স ফিঃ আমাদের এই কোর্স নামমাত্র মূল্যে করানো হবে, যেন সবাই এই সুযোগ নিতে পারে।
রেজিস্ট্রেশন ও কোর্স শুরু সম্পর্কেঃ
মিনিমাম শিক্ষার্থী প্রস্তুত হলে কোর্স শুরু হবে। তাই অগ্রিম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
যোগাযোগ করুনঃ আমাদের ফেসবুক আইডিতে ইনবক্স করুন।
অপেক্ষা না করে আজই রেজিস্ট্রেশন করুন। আপনার ভবিষ্যৎ আয়ের পথ নিশ্চিত করতে আমরা আছি আপনার পাশে!
Telegram GroupJoin Now
Facebook PageFollow Now